পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

চলমান দিনকাল ~ ৩

১। ৩০০ফুট(প্রথম-আলো)/ ৪০০ ফুট(বাংলা নিউজ২৪) গভীর পাইপের নীচে বাচ্চা পরে গেছে। 

২। ২০-২৫ টা খবিসের দল উদ্ধার কাজ সরাসরি সম্প্রচার করে চ্যানেলের টিআরপি বাড়াচ্ছে।সাথে নিজেরদের চেহারা টিভিতে দেখাতে ক্যামেরার পিছনে ঘুরাফেরা করছে উৎসুক জনতা। 


৩। কয়েকটা চানেলে দেখলাম লাইভ টক-শো হচ্ছে এই বিষয়ে। 


৪। বাচ্চার চাচা, খালা, মামা, বাবার সহকর্মীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার চেষ্টা। 


৫। কিছুক্ষণ পর হয়তো টকশো তে বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসবে পাইপ দিয়ে লোক ঢুকতে পারবে কিনা পারলে কতক্ষণ লাগবে।

৬। হয়তো ডাক্তার নিয়ে আসবে খাবার ছাড়া কতক্ষণ বাঁচবে তা বলতে।

৭। শিশুটি বাঁচবে নাকি বাঁচবে না এটার সম্ভবনা নিয়ে হয়তো SMS পোল ও চালু হয়ে যেতে পারে।

৮। খালেদা অথবা ফখা হয়তো বলবে গাজীপুর কান্ড থেকে জনগণের চোখ সরাতে এসব সরকারের নাটক, চক্রান্ত.........

রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৪

লিফট কথন...

আমার বাসার লিফটের কিছু বৈশিষ্টঃ (!) 
১। তৃতীয় তালার (আমি থাকি) আপ বাটন নষ্ট। ডাউন ঠিক আছে। সুতরাং উপরে নিচে যেখানেই যেতে চান আপনাকে ডাউন বাটনেই চাপতে হবে।
২। ভেতরের সংখ্যা নির্দেশক মনিটরের তাঁর মনিটরের পাশ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসছে।
৩। ভিতরে ০ থেকে ৬, বন্ধ, খোলা ও জরুরি কল বাটন আছে এর মধ্যে ০, ১ আর বন্ধ করার বাটন কাজ করে না। তাই আপনি ছাদ পর্যন্ত যেতে পারলেও তৃতীয় তালার নীচে লিফটে যেতে পারবেন না। 
৩। দরজার সেন্সর কাজ করে না। দরজার দুই পাটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে রুটি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
৪। জরুরি কল বাটনটাই আছে এটার সাথে সংশ্লিষ্ট কল রিসিভার আজ পর্যন্ত চোখে পরে নাই...।
৫। দরজার দুই পাটি সয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হতে যেয়ে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত পৌঁছে পরস্পরকে বিকর্ষণ শুরু করে, এবং অনবরত এ প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। তখন দুই হাত দিয়ে পরস্পরকে চেপে ধরে বিকর্ষণ শক্তি কমাতে হয় এবং তখন লিফট চলতে শুরু করে। 
৬। ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মত ভিতরের লাইট অনবরত কাজ চালাতে থাকে।
৭। মাঝে মাঝে কোন কারণ ছাড়াই লিফট বন্ধ হয়ে যায়। তখন সাথে মোবাইল থাকলে ভালো। না থাকলে স্যান্ডেল দিয়ে দেয়ালে আঘাত করে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়। (অভিজ্ঞতা আছে) 
৮। এতো সমস্যা থাকার পরেও দৈনিক কয়েকবার ব্যবহার করি............ 

সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৪

হিযবুত তাহরীর সংবিধান...???

সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে খিলাফত হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্টার পর তারা যে সংবিধানে দেশ চালাবে তার খসড়া কপি (গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল অবস্থা)।
তো চলুন দেখে আসি তাদের সংবিধানের কয়েকটি ধারা...

১। স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগকারীদের "মুরতাদ" ঘোষণা করে তাদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা।
০।
১। ১৫ বছর বয়সী এবং তদুর্দ্ধ মুসলিম পুরুষের জন্য জিহাদের প্রস্তুতি হিসেবে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা।
০।
১। বাংলাদেশে বসবাসরত অমুসলিমদের তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুসরণ এবং উপাসনা করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অনুমতি নেয়া।
০।
১। অমুসলিমদের আহার এবং পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়াহর বেঁধে দেয়া সীমানার মধ্যে থাকা।
০।
১।  রাষ্ট্রের শাসক পদ থাকবে চারটি- খলিফা, মুওয়াউয়িন তাফউয়িদ, ওয়ালি এবং আ'মিল। বাকি সব হবে কর্মচারীর পদ।
০।
১। শাসকের পদে অমুসলিম এবং নারীদের নিষিদ্ধ করা হবে।
০।
১। ইসলাম বর্হিভূত অন্য কোন মতবাদের উপর ভিত্তি করে দল গঠন নিষিদ্ধ করা হবে।
০।
১। খলিফা নির্বাচনে এবং বিচার বিভাগের অমুসলিম ও নারীদের নিষিদ্ধ করা।
০।
১। নারী ও পুরুষের মেলামেশা একমাত্র ক্রয়-বিক্রয় ও হজ্ব ছাড়া নিষিদ্ধ।
০।
১। সম্পদের সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক করা যাবেনা।

এদের সংবিধান দেখে আমার নকুল কুমার বিশ্বাসের গানটা মনে পড়ে গেল...
"খালি কলসি বাজে বেশি, ভরা কলসি বাজে না
রূপ নাই তার সাজোন বেশি, রূপের মাইয়া সাজে না"

* সংখ্যায়নে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে......

চলমান দিনকাল~ ২


১।  ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গেলাম। টাকার পরিমান ১৬,৩৪৯/= । আমি দিলাম ১৬,৫০০। 
মহিলা ম্যাডাম টাকা জমা নিয়ে জিজ্ঞাস করলেন, "কত টাকা back পাবেন?
"১৫১ টাকা"- আমার উত্তর।
উনি উনার টাকার বাক্সে অনেক খুঁজাখুঁজি করেও ১ টাকা বের করতে পারলেন না। পাশের টেবিলে বসা উনার বান্ধবীর কাছেও খুঁজলেন পেলেন না। 
তারপর টাকার বান্ডিলে অনবরত হাতুড়ি পেটাতে থাকা লোককে ভাইয়া সম্বোধন করে উনার কাছে চাইলেন। উনিও ব্যর্থ।
অবশেষে মহিলা ম্যাডাম হাসি মুখে বললেন "১ টাকা কম নিতে হবে..."
আমি বললাম " সমস্যা নাই। তবে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয় তার জন্য একটা বুদ্ধি দিতে পারি, "১ টাকা দামের কিছু ক্যান্ডি নিয়ে আসতে পারেন।"

২।  সবাই তামিম ইকবাল কে বকাবকি করতেছেন আরে ভাই ও তো ঠিক কাজই করতেছে। ও যে ওপেনার, খেলা ওপেন করে দেয়াই তার কাজ......... 

৪। জন্ম থেকেই আমাদের তিন দিনে টেস্ট শেষ করার অভ্যাস সেটা হারা বা জেতা ব্যাপার না।


৮। ...............!!!

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪

নিভৃতচারীকে স্মরণ...

লেখার মাধ্যমে প্রকৃতির গভীরতা এতো সুন্দর ভাবে বোঝানো যায়, প্রকৃতির এতো গভীরে চলে যাওয়া যায় জীবনান্দের কবিতা পড়ার আগে তা আমার জানা ছিল না।

নিভৃতচারীর বিদায় দিনে নিভৃতচারী পাঠকের পক্ষ থেকে স্মরণ......


যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে রবো — অন্ধকারে নক্ষত্রের নিচে
কাঁঠাল গাছের তলে হয়তো বা ধলেশ্বরী চিলাইয়ের পাশে –
দিনমানে কোনো মুখ হয়তো সে শ্মশানের কাছে নাহি আসে –
তবুও কাঁঠাল জাম বাংলার- তাহাদের ছায়া যে পড়িছে
আমার বুকের পরে — আমার মুখের পরে নীরবে ঝরিছে
খয়েরী অশথপাতাত — বইচি, শেয়ালকাঁটা আমার এ দেহ ভালোবাসে,
নিবিড় হয়েছে তাই আমার চিতার ছাইয়ে — বাংলার ঘাসে
গভীর ঘাসের গুচ্ছে রয়েছি ঘুমায়ে আমি, — নক্ষত্র নড়িছে

আকাশের থেকে দূর-আরো দূর-আরো দূর-নির্জন আকাশে
বাংলার-তারপর অকারণ ঘুমে আমি পড়ে যাই ঢুলে।
আবার যখন জাগি, আমা শ্মশানচিতা বাংলার ঘাসে
ভরে আছে, চেয়ে দেখি,-বাসকের গন্ধ পাই-আনারস ফুলে
ভোমরা উড়িছে,শুনি-গুবরে পোকার ক্ষীণ গুমরানি ভাসিছে বাতাসে
রোদের দুপুর ভরে-শুনি আমি; ইহারা আমার ভালোবাসে-

_________জীবনানন্দ দাশ (যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে রবো)

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

সিনেমা কথনঃ বৃহন্নলা

১। সন্ধ্যার শো তে বলাকায় মুরাদ পারভেজের দ্বিতীয় সিনেমা বৃহন্নলা দেখে আসলাম।

২। সিনেমাতে আমি যা খুঁজি (গোছানো গল্প, প্রতিটা দৃশ্যে বিশাল ক্যানভাস, অভিনয়কে ছাড়িয়ে যাওয়া, সিনেমা ছাড়িয়ে শিল্পে রূপ নেওয়া) সবই পেয়েছি।

৩। প্রতিটা চরিত্রের জন্য সঠিক অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচনে পরিচালক বাহবা পাওয়ার যোগ্য।

৪। ফেরদৌস, সোহানা সাবা, আজাদ আবুল কালাম, ঝুনা চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, ডাঃ ইনামুল হক বা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় ভুলার মত নয়। বিশেষ করে হোমিও ডাক্তারের চরিত্রদানকারী আজাদ আবুল কালামকে বিরতির পর মৃত দেখতে পেয়ে একপ্রকার হতাশই হয়েছি।

৫। প্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে কিছুটা নেগেটিভ চরিত্রে দেখে হতাশ হয়েছি।

৬। গানের সংখ্যা ৪টি (সংক্ষিপ্ত), তবে ৪টি গানই কাহিনী পরিবেশের সাথে খাপে খাপ
মিলে গেছে।

৭। তবে শেষ দৃশ্যে পরিচালক এতো তাড়াহুড়া করে কেন শেষ করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। আরো দুই তিনটা দৃশ্য দিয়ে শেষ করলে মনে হয় আরো ভালো হত।

৮। মেধা থাকলে যে স্বল্প বাজেটেও ভালো সিনেমা করা যায় মুরাদ পারভেজ বৃহন্নলার  মাধ্যমে আবার তা দেখিয়ে দিলেন।
৯। টিকেটের টাকা সার্থক। দেখতে পারেন। অবশেষে বৃহন্নলার জন্য শুভকামনা।  

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০১৪

কিছু কথা~~ ১০

১। সাকিবাল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ + আগামী দেড় বছর দেশের বাইরে কোনো লীগ খেলতেও তাকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না--- ছয় মাস বেশি হয়ে গেছে তবে দেশের বাইরে দেড় বছর ঠিক আছে।

২। অনুমতি ছাড়া সাকিবের মডেলিংয়েও বাধা।

৪। বিসিবি চলে জনগনের টাকায়। পাপন সাহেব মিটিংয়ে এসে যে লাচ্ছি খেয়ে আরাম পাচ্ছেন তার টাকার উৎসও জনগন। এখন জনগন জানতে চায় কোচের সাথে সাকিবের কি ঘটেছিল কেনই বা সে ছয় মাস নিষিদ্ধ?

৮। ভাণ্ডারী নিয়ে দেশে বিদেশে ঘুরে ঘুরে সাকিবালের ছয় মাস ভালই কাটবে বলে মনে হচ্ছে।

১৬। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর আগামীকালের খবরঃ বাংলানিউজের খবরে সাকিবাল ৬ মাস নিষিদ্ধ।

৩২। এসব দেখি কানার হাট বাজার.........।।

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০১৪

চলমান দিনকাল~~ ১

১। দীর্ঘ তিনদিন ছুটি শেষে আগামীকাল সকালে Statistics & Probability পরীক্ষা।
এখনও কিছু পড়া হয়নি। ব্যাপার না মাত্র ৪ অধ্যায়। ২ ঘণ্টা পড়তে পারলে শেষ।

২। গত তিন দিনে যুদ্ধ নিয়ে (বিশেষ করে ২য় বিশ্বযুদ্ধ) কয়েকটি সিনেমা দেখলাম লিস্ট হচ্ছে......।। :p
The Boy in the Striped Pajamas
Life is Beautiful
The Pianist
The Book Thief
Turtles Can Fly

৩। এখন ২য় বিশ্বযুদ্ধের মুভি দেখে তো হিটলারের প্রতি ঘৃণা জন্ম হয়েছে। এখন জার্মানিকে কীভাবে সমর্থন করি.........।

৪। ব্যাপার না ব্রা জিল, আরজেন্তিনার সমর্থকদের কাছথেকে শিখেছি। খেলা খেলার মতো তার সাথে মেসি, মারাদোনা বা নেইমারের চরিত্র কেন মেলাতে যান।

৫। আরজেন্তিনা- ইরানের খেলার দিন এক সেমি হুজুরকে (আরজেন্তিনার সমর্থক) ভাই ইরান একটা মুসলিম দেশ। আর আরজেন্তিনা নাস্তিকদের দেশ। আপনি কেন.........?
আরে ভাই খেলা খেলার মতো ধর্ম ধর্মের মতো। যদিও আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতদূর জানি কোন লক্ষ্যকে বা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সকল খেলাই নিষিদ্ধ।

৬। স্টুডেন্ট প্রশ্ন করলো ভাইয়া, ব্রা জিলে নাকি আযান দেওয়া নিষিদ্ধ?
-হতে পারে। তাহলে তুমি মুসলিম হয়ে এদের কেন সমর্থন দিবে?
একই কথা খেলা খেলার মতো ধর্ম ধর্মের মতো। খেলার সাথে ধর্ম মিলালে চলবে না......।

৭। তাই হিটলার যাই করুক না কেন আমি জার্মান ফুটবলের সমর্থক.........।

৮। সাকিবাল এখন শুধু আপনাদের খেলার মাঠেই আনন্দ দিবে না, আপনার মা- বোনদের জন্য প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবস্থা করে ঘরেও আনন্দ দিবে।

৯। রাজনৈতিক কালা বিলাই সুরঞ্জিত খালেদাকে লাইনে আসতে বললেন (তিনিও নাকি এখন লাইনের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন)। তিনি আরও বলেন, ভুল হলে রাজনীতিতে কেউ কাউকে খাতির করে না(যদিও আমজনতা বলেন আমি নাকি খাতির পেয়েছি আসলে আমি কোন ভুলই করি নাই)।
এই যে দেখেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কাবিন করা বিবি পর্যন্ত খাতির করে না (এই ক্ষমতা শেষ ক্ষমতা নয়) আর আপনারে ক্ষমতায় বসতে দেবে কে? সুতরাং এবারে লাইনে আসেন, লাইনে আসেন মানে গণতন্ত্রে।

১০। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয় স্বজনের দুর্নীতির তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপির ৭ নেতার উপর চটেছেন ভাবি প্রধান্মন্ত্রি তারেক রহমান, তবে তাদের ছুড়ে মারার মতো কোন চটি খুজে পাননি(চায়না জুতার রাজত্তে বাংলা চতি বিলুপ্ত)। ৭ নেতা বলেন আর কতদিন মন্ত্রী হওয়ার আশায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করবো?
এতদিন সাকিবের সাথে কস্মেটিক বেচলেও দুই তিনটা খাম্বা লিমিটেডের মালিক থাকতাম। আমরা আর বিনাবেতনে স্বেচ্ছাশ্রম করবো না।। হু......।। 

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০১৪

আবোল-তাবোল আলাপন...।।।।

১। পরীক্ষা আসলেই বই(একাডেমিক না), সিনেমার ভূত মাথায় চাপে। এমনিতেই যে চাপে না তা নয়      এসব নিয়েই তো বেঁচে আছি। পরীক্ষা আসলে বেশি বেশি আর কি......।
২। আশরাফুলের একার শাস্তি মানি না.........।
৩। আজকে উরুগুয়ে আর জাপানের পক্ষে।
৪। খেলা রেখে বৌয়ের সেবা করতে যাওয়ায় শাস্তি পাচ্ছেন সাকিবাল হাসান।
৫। অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।
৬। আগামী সিরিজে তামিমের দলে থাকার একমাত্র উপায় অধিনায়ক হওয়া। তাই ওকে বলবো চাচার    হাতে পায়ে ধরে পদ নিয়ে নাও।
৭।   কতবার তোর আয়না ভেঙে চুরে ঘুরে তাকাই
       আমার মতে তোর মতন কেউ নেই ।
       কতবার তোর কাঁচা আলাওয় ভিজে গান শোনাই,
       আমার মতে তোর মতন কেউ নেই ।

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

অসমাপ্ত সমাপন.........! ~১

অনেকদিন ধরে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করতেছিলাম। কিন্তু সময়, সুযোগ বা সঙ্গীর অভাবে ব্যাটে-বলে ঠিকমত মিলতেছিল না। সর্বশেষ মনে হয় ২০০৯ সালে হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছি। 
ইদানিং বাংলা সিনেমায় পরিবর্তন লক্ষ্য করতেছি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে বাংলা সিনেমা যখন তার খোলস ছেঁড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে তখন একদল আবাল চেষ্টা করছে বিদেশি সিনেমা আমদানির (অনেকটা সফলও হয়েছে বলা যায়)। 

যাইহোক আমার দেশের সিনেমার স্বার্থে প্রত্যাবর্তন করা উচিত এই চিন্তা করে আবার সিনেমা হলে ফিরলাম 'চিলড্রেন অব ওয়ার' নামক এক ইন্ডিয়ান সিনেমার মাধ্যমে। ইন্ডিয়ান সিনেমার মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের চিন্তা কখনোই ছিল না তবে কাহিনী যেহেতু আমাদের নিয়ে, আমাদের অর্জন নিয়ে, আমাদের ইতিহাস নিয়ে তাই কীভাবে আমাদের প্রকাশ করেছে এই চিন্তা করেই ২০০ টাকার টিকেট কেটে শ্যামলী সিনেমায় ঢুকা।

মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী, মূল সিনেমা হিন্দি, প্রধান চরিত্রে নেওয়া হয়েছে বাঙালি (কলকাতা) অভিনেতা, অভিনেত্রী, নবীন পরিচালক এই হল সিনেমার এক কথায় প্রকাশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য বেতার বরাবর পাঠানোর ভেতর দিয়ে সিনেমার শুরু। তারপরেই সিনেমার মূল চরিত্র সাংবাদিক আমির ও তার স্ত্রী ফিদার দীর্ঘ মিলন দৃশ্য পর পর নাপাকি সেনাদের প্রবেশ ও আবারও দীর্ঘ ধর্ষণ দৃশ্য। মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী ভিত্তিক সিনেমায় এরকম দীর্ঘ মিলন বা ধর্ষণের দৃশের কি হেতু বা দরকার তা আমার বোধগম্য নয়।

তারপর তিনটা আলাদা গল্পকে ভিত্তি করে এগুতে থাকে সিনেমার গল্প। একটা বর্তমান(শাহবাগ আন্দোলন) যার ৩ টা দৃশ্য পুরো সিনেমায়, একটা সকল স্বজন হারানো ভাই-বোনের আরেকটা সাংবাদিক দম্পতির যাদের নিয়ে মূল গল্প।
সাংবাদিক আমিরের স্ত্রী ফিদাকে নাপাক সেনারা ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আমির বাকি সাংবাদিকদের নিয়ে গেরিলা বাহিনী গঠন করে। দেশ স্বাধীন হয়। যুদ্ধশিশুরা নিজেদের মাকে শহীদ বা মুক্তিযুদ্ধার মর্যাদা দিতে দাবি করে.........। এটাই সিনেমার সারমর্ম......।
(চলমান......)

আবু হাসানাত দিপু
১৭ই মে, ২০১৪......।

কিছু কথা~~ ৯

১। দেশে কোন ছেলে A+ পায় নাই। সব মেয়েরা পেয়েছে............ 
দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলো অন্তত তাই বুঝাতে চেয়েছে.........। আমি ও বুঝেছি......।

২। কাণ্ডারি ১০০% A+ এর আর কত দেরি.........? 

৩। নরেন্দ্র মোদি বা বকরির লাদি যেই ক্ষমতায় আসুক তাতে আমার বা আমার বাপের কিছু আসে যায় না। যাদের আসে যায় তারা ইতিমধ্যে শুভেচ্ছার নাম করে পা চাটা শুরু করে দিয়েছে......।।

৪। চিন্তা করতেছি গলির মোড়ে একটা চায়ের দোকান দিবো। ১০ বছর পর চা বেচে কোটিপতি হলে রাজনৈতিক দল গঠন করে নরেন্দ্র মোদি হয়ে যাবো......।।

আবু হাসানাত দিপু
১৮ই মে, ২০১৪।

গালগল্প~~১

১।   ফেসবুকের Home পেজের পাশে The People You May Know তে দেখলাম ঐশী নামের একজন। আমার সাথে ১৫ টা Mutual Friends. মেসেজ করলাম......

আমিঃ হ্যালো...! 
ঐশীঃ hi!
আমিঃ কেমন আছেন?
ঐশীঃ valo. apni? 
আমিঃ হু ভালো। কবে ছাড়া পেলেন?
ঐশীঃ mane....?  
আমিঃ এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন? নেশার জন্য বাবা- মা কে কেন খুন করতে গেলেন...... 

তারপর উনাকে আর মেসেজ দেওয়া যায়নি.........।

ভালোই চমকে দিলাম মনে হয়......।।   


২।   মডেমের সীমাবদ্ধ প্যাকেজ ব্যবহার করতে করতে বিরক্ত। তাই ইদানিং বর্ডব্যান্ডের খোঁজখবর করতেছি। সন্ধায় বিজ্ঞাপন দেখে এক জায়গায় ফোন দিলাম। জিজ্ঞাসা করলাম--
- আপনাদের ৫১২ কেবিপিএস রেট কত?
- ৬৫০ টাকা।
-ও... বেশি হয়ে গেল না?
-কেন? কীভাবে?
- না, মানে ৫০০ টাকার মধ্যে হবে না?
-হবে। ২০১৬ সালে।
-ভালো। তা ২০১৬'র প্রথম দিকে নাকি বাজেট-টাজেটের পর?
-না। প্রথম দিকেই।
-ও। তাহলে তো আর বেশি দেরি নাই। মাত্র ১৯ মাস। আমার জন্য বুকিং দিয়ে রাইখেন...।।

ভদ্রলোক লাইন কেটে দিল। সংযোগ ফ্রী কিনা, কোন ব্র্যান্ডের কোন তার ব্যবহার করবে, এফটিপি সার্ভার আছে কিনা কিছুই জানা হল না.........

৩। অনেকদিন পর চাঁদ আমার সাথে হাটলো। সবসময় সুযোগ মত পাই না, আজকে পেয়ে গেলাম এবং অনেকটা পথ বলতে গেলে জোর করেই হাটালাম। 

ইচ্ছা করেই একবার ডানে একবার বামে, কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে আবার কিছুক্ষণ জোরে হাঁটলাম বা দৌড়ালাম। 

বেচারা চাঁদ মামা কিছু করতে না পেরে একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর আমায় অনুকরণ করতে লাগলো............।

আবু হাসানাত দিপু
১৮ই মে, ২০১৪।

শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০১৪

কিছু কথা--- ৮

১। সবার ধারনা ছিল বি গ্রুপ থেকে হয়তো আয়ারল্যান্ড না হয় জিম্বাবুয়ে সুপার টেনে যাবে। আয়ারল্যান্ডই ছিল মোস্ট ফেভারিট কিন্ত না সবার ধারনা কে পাল্টে দিয়ে ১৩ ওভার ৫ বলে ১৯৩ রান করে সুপার টেনে চলে গেল নেদারল্যান্ড.........। অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য ডাচদের বিশেষ ধন্যবাদ। সুপার টেনের 'এ' গ্রুপের দলগুলো 'বি' গ্রুপের দল থেকে টি-২০ তে তুলনামুলক ভাবে দুর্বল তাই ডাচদের সুযোগ আছে আরও উপরে যাওয়ার। 

২। সাবেক সব টি-২০ চ্যাম্পিয়নরা বাংলাদেশের গ্রুপে কেন? তবে ব্যাপার না হংকং এর মত আমরাও সবাইকে চমকে দিব। 

৩। আশ্চার্যজনক হলেও সত্য খেলা পাগল আমি ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের খেলা দেখতেছি না তবে ব্রাউজারে ইএসপিএন খোলা......

৪। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্ল্যান অনুসারে একটা কাজও করতে পারিনি। সারাদিনের সব প্ল্যান মিস আজকেই প্রথম আমার জীবনে।

৫। আমরা বাঙালিরা আসলেই গুণীর কদর করতে, ভাল কে উৎসাহ দিতে খারাপকে বাড়ন করতে জানি না...।।

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ক্রিকেট ও আমি......!!!


একটা সময় ছিল যখন ক্রিকেট খেলা হলেই আমাকে দেখতে হবে তা যেকোনো দলেরই হোক না কেন। ক্রিকেটের সব ধরনের সকল দেশের খেলার খোঁজ-খবর আমার কাছে থাকতো। আমার কিছু ডায়রি ছিল যেখানে খেলোয়ারদের বিভিন্ন তথ্য ও রান বা উইকেট সংখ্যা লিখে রাখতাম।
ক্রিকেট বুঝার পর থেকেই আমি মোটামুটি পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেটা শুরু হয়েছিল ইন্দিয়া-পাকিস্তান খেলার পর থেকে কারণ আমি সাপোর্ট করতাম ইন্ডিয়াকে। ক্লাস সেভেন- এইটে পড়ার সময় ইন্ডিয়া-পাকিস্তান খেলা নিয়ে ক্লাস দুই ভাগ হয়ে যেতো। কে ভাল কে মন্দ তা নিয়ে চলত তুমল বিতর্ক। তখন আমার সবসময় পাকিস্তান কে শত্রু মনে হতো(এখনও হয়)। যার সাথেই পাকিস্তানের খেলা হতো আমার কামনা থাকতো পাকিস্তান যেন হেরে যায়।
গত ৩-৪ বছর বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশের খেলা দেখা হয় না এমনকি খোঁজ-খবরও তেমন একটা রাখা হয় না। ইদানীং বাংলাদেশের খেলাও দেখা হয় না তবে মোবাইলে নেটের কল্যাণে খোঁজ-খবর রাখা হয়।
বর্তমানে আমার মধ্যে আরেকটা পরিবর্তন আসছে তা হল ইন্ডিয়া হেরে গেলেও এখন আমার কেমন যেন একটা পৈশাচিক আনন্দ হয়। এখন  আমার কামনায় থাকে ইন্ডিয়াও যেন হেরে যায়। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান বা অন্য প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট দলের চেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর দল আয়ারল্যান্ড বা আফগানিস্তানের জয় দেখলে ভাল লাগে।
এখন খেলা না দেখলেও বাংলাদেশের জয়ের কামনা সবসময়ই করতে থাকি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশের জয়ের খবর শুনতে ভাল লাগে না......।।
এখন যা বুঝতে পারছি বাংলাদেশের ক্রিকেট ভালো নেই। সেটা প্রশাসন বা খেলোয়ার সবাই একই অবস্থানে আছে। নানা অরাজকতা ও দুর্নীতি ক্রিকেটে ঢুকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুদিনের অপেক্ষায় আছি। ১৬ কোটি বাঙালি ক্রিকেটকে যেভাবে ভালোবাসে আমাদের ১১ জন খেলোয়ার বা ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ঠিক সেভাবেই ভালবাসবে সেই অপেক্ষায় আছি.........!

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

পিকনিক ও আমি.........

পিকনিকে কুইজ বা কূপন আয়োজনের দায়িত্ব স্বেচ্ছায় গ্রহণ করার পর ফান্ড পেলাম মাত্র ২৫০ টাকা। তাও আবার অনেকটা জোর করে পিকনিকের নির্ধারিত টাকা থেকে ১৫০ টাকা কম দিয়ে আর নাসিমকে বলার পর ও দিল ১০০ টাকা। যাই হোক এইটুকু সম্বল করে বুধবার বিকালে গিফট হিসেবে টয়লেট সামগ্রী নিয়ে আসলাম  । এসেই তাড়াতাড়ি কুইজের জন্য প্রশ্ন করে প্রিন্ট, ফটোকপি করলাম তারপর কূপন বানানো, গিফট র‌্যপিং যখন শেষ হল তখন ঘড়িতে দেখলাম সময় রাত ১ টা। সকাল ৭:৩০ মিনিটে মিরপুর থাকতে হবে উঠতে পারবো তো? এই আশঙ্কা থেকে নিজের উপর দুইবার পানি থেরাপি প্রয়োগ করলাম। 

বৃহস্পতিবার সকালে অবশ্য ঠিক সময়মতোই বাসা থেকে বের হলাম কিন্ত যানজটের কারনে কাঙ্খিত সময়অনুসারে পৌছতে পারলাম না। গাড়ি ছাঁড়ার কথা ছিল ৮ টায় কিন্তু ছাড়ল ৯:৩০ টায়। যাত্রী সংখ্যা ২২ যেখানে বাসের সিট সংখ্যা ৪৭।
বাস ছাড়ার পর থেকেই শুরু হল গান। বলতে গেলে মিশুই পুরো বাসটা মাতিয়ে রেখেছে লালন, মাতাল রাজ্জাক বা শাহ আব্দুল করিমের গান গেয়ে সাথে ছিল হাসান, আর আজিজ তার হেঁড়ে গলা নিয়ে সবার সাথেই দোহার ধরছিল। লোক গান যে পিকনিকেও গাওয়া যাই গতকালই আমি প্রথম দেখলাম।


আনন্দের মধ্য দিয়ে ২ ঘণ্টা পার করে ১১:৩০ এর দিকে আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার পেরাবো নামক গ্রামে অবস্থিত “বাংলার তাজমহলে” পৌঁছে গেলাম। ৫০ টাকায় টিকেট কেটে প্রবেশ করলাম কিন্তু আশানুরূপ কিছু পেলাম না। তারপর বাংলার তাজমহল থেকে বের হয়ে আসলাম পানাম নগরীতে। বিনা টাকায় পানাম নগরী ভ্রমন করে আমার ৫০ টাকার বাংলার তাজমহল ভ্রমনের কিছুটা শোধ তুললাম। পানাম নগরের প্রাচীন বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করতে করতে লাঞ্চ ওখানেই করে নিলাম। লিচু গাছে উঠে খাওয়া পরবর্তী বিশ্রাম নিয়ে কারুশিল্প জাদুঘরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সেখানে গিয়ে পেয়ে গেলাম লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উত্সব-১৪২০ এর। জাদুঘরে আমাদের আদি বাসিন্দাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই মসজিদ থেকে ভেসে আসলো মাগরিবের আযানের ধ্বনি।

এর মধ্যে সর্দার বাড়ির পুকুরের পাশের মাঠে বসে সবাই দিয়ে দিল বিশেষ কুইজ পরীক্ষা। খাতা মূল্যয়ন শেষে ভ্রমনের ইতি টেনে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বাসে উঠে কুইজ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও অদ্ভুত সব উপহারের মোড়ক খোলার মধ্য দিয়ে কিছু সময় পার করে শুরু হল কূপন পর্ব। কূপন পর্বে সিয়াম ভাই স্পন্সর হয়ে ১ জনকে উপহারের ঘোষণা দিল। সবাই নিজেই কূপন তুলে গাই-গুই করতে করতে যার কূপনে যা লেখা ছিল তা করতে থাকল। যেহেতু উপহার আছে তাই সবার মতামত নিয়ে নম্বার প্রদান চলতে থাকলো। ভেবেছিলাম মাহবুব তার ভাগ্যে পরা “প্রথম প্রেমের কাহিনী” শোনাতে পারবে না, কিংবা মুজাহিদ ভাই অফ মুডের মানুষ (আমার মনে হয়) তার অভিজ্ঞতা(দুর্লভ) বর্ণনা করতে পারবে না কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে তারাই সর্বোচ্চ নাম্বার অর্জনকারীদের দলে চলে আসলো। সবচেয়ে অবাক করা দৃশ্য আমার কাছে মনে হয়েছে আরজুর নাচ  ।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “গর্ত পরের জন্য খুড়লে নিজেকে সেই গর্তে পরতে হয়” আমাকে সেই গর্তে পড়তে হয়েছে যখন আমার কূপন তোলার পালা আসলো। প্রথম থেকে আমি “প্রেমের প্রস্তাব” নামক কূপনটির অপেক্ষায় ছিলাম। এটা কার ভাগ্যে আসে আর সে কিভাবে পাড় পায়। একে একে সবারটা শেষ হয়ে গেল কিন্তু কেউ পেল না। বাকি থাকলো ৩ টা কূপন, ‘প্রেমের প্রস্তাব’, ‘নাচ’, ‘খালি’। কূপনের টুপি তখন ছিল সিয়ামের হাতে। আজিজ যখন তার ভাগ্যে পরা কৌতুক শোনাচ্ছিল তখন আমি সিয়ামের চোখ ফাঁকি দিয়ে সব কূপন চেক করে ‘খালি’ টা উপরে রাখলাম  (ভুল ছিল কেন যে ‘প্রেমের প্রস্তাব’ টা হাওয়া করে দিলাম না)। ভেবেছিলাম “খালি” উঠলে তো বেঁচেই গেলাম বা ‘নাচ’ উঠলে হাত পা ছুড়াছুড়ি করে পার পেয়ে যাব  । কিন্ত উঠানোর সময় সিয়াম হাত দিয়ে ডেকে দিল। আমি আর চোখে দেখে কূপন তোলতে পারলাম না, তারপর যা হওয়ার তাই হল  নাসিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েই জড়িয়ে ধরলাম । এভাবেই শেষ হল সকল আনন্দ। 


 সারাদিন ভ্রমনের ফাঁকে ফাঁকে সবাই আসিফ ভাইয়ের/আজিজের/তন্নির ক্যামেরায় বা অন্যদের ক্যামেরায়ুক্ত মোবাইলে সব্বাই বন্দী হচ্ছিলো। বাকি সময় যার যার মত উপভোগ।
প্রথম থেকেই আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে নাসিম ও তানভীর ভাই ট্যুরটা আয়োজন করতে পারবে। একটা তারিখ পার হওয়ার পর তো ট্যুরের আশাই আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। অবশেষে তারা সফল। তাদের ছোট করে হলেও ধন্যবাদ দিচ্ছি  । মামুনকে বিশেষ ধন্যবাদ ই সি ই ডিপার্টমেন্টের হয়েও আমাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য। বাকি সবাইকেও ধন্যবাদ দিচ্ছি কারণ তারা না হলে ট্যুরটা সম্ভব হত না, হতো না এত আনন্দ। 


ঢাকার এত কাছে বা আমার বাড়ির (নরসিংদী) পাশে এত চমৎকার একটা জায়গা অথচ আমার ভ্রমন করা হয়নি ভাবতেই অবাক লাগে। হাঁ এটাই সত্য বাড়ির পাশের পড়শীর খোঁজ খবর কেউ রাখে না......। তাইতো লালন বলে গেছেন “বাড়ির পাশে আরশি নগর সেথা এক পড়শী বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে...............।“ 

শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

উদাস বসন্ত দুপুর ও একটি রোমাঞ্চকর সেমি-আ্যাডভেঞ্চার

পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া আজকে খুব ভালো একটা পিকনিক হয়ে গেল জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে (বোটানিক্যাল গার্ডেন)। চিড়িয়াখানা নাকি বোটানিক্যাল করতে করতে মিরপুর-১ থেকে ৬ মানব-মানবীর বাসে উঠা। বামদিকে গেলে চিড়িয়াখানা ডানদিকে বোটানিক্যাল এমন ক্রান্তি লগ্নে এসে ত্বরিত সিদ্ধান্ত আসলো বোটানিক্যাল গার্ডেন। অবশেষে ১০ টাকার বিনময়ে টিকিট নিয়ে উদ্ভিদ সংরক্ষণ, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের গবেষণা কাজের জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘বোটানিক্যাল গার্ডেন’ নামক ২০৮ একর জায়গার এক বাগানে প্রবেশ। 

প্রবেশ করেই বুঝতে পারলাম আমাদের মত কেউ ঢাকা শহরে সবুজের স্বাদ পেতে বা বৃক্ষ চিনতে এখানে আসেনি। সবাই আসছে তার বিপরীত লিঙ্গের প্রিয়(!) মানুষটিকে নিয়ে একান্ত সময় কাটাতে। যাই হোক, আমরা বিশেষভাবে আমি আর আজিজ কপোত-কপোতীদের জড়াজড়ি এড়িয়ে বিভিন্ন প্রকার গাছের সাথে পরিচিত হতে থাকলাম। 


ক্যাকটাস হাউস, অর্কিড হাউস বা গোলাপ বাগানের সিকিউরিটি দেখে আমার সন্দেহ হয়েছিল এগুলো আসলেই উপভোগের জন্য রাখা হয়েছে? প্রয়োজন অনুসারে গাছে পরিচিতি দেওয়া নাই। পাতাবিহীন  শুধু ফুল, ফুলগুলো অনেকটা অড়বড়ই গাছে যেভাবে অড়বড়ই ঝুলে থাকে তেমনভাবে ঝুলে আছে সারা বাগান ঘুরেও এই গাছটির নাম খুজে পেলাম না। পদ্ম পুকুর, শাপলা পুকুর দেখে হতাশ, শাপলা পদ্ম তো দূরের কথা পানিই নেই। অবশ্য নির্দেশনা প্লেটে লেখা ছিল এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শাপলা পদ্ম দেখা যাবে। 

ওয়াচ টাওয়ার থাকলেও উঠার সিঁড়ির মুখে কাঁটা দিয়ে ঘেরাও করা।


সিঁড়ি ছাড়া ঢাল বেয়ে উপরে উঠে কৃত্তিম ঝরনার উৎপত্তিস্থান দেখা, ফেলনা তাশ সংগ্রহ সত্যি রোমাঞ্চকর, তবে সবাই পায় নাই শুধু আমি আর আজিজ। ৬০ হাজার ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের এই বাগানের যথেষ্ঠ পরিচর্যার অভাব দেখে ইচ্ছে হচ্ছিলো “বন কর্মকর্তার কার্যালয়” নামক সাইনবোর্ড  পরিবর্তন করে আগে ‘অলস’ লাগিয়ে দেই। 


লেকের মাঝখানের কৃত্তিম দ্বীপ আর ওয়াচ টাওয়ার ছাড়া প্রায় সবই দেখা হয়েছে। গাবট (গাব+বট ‘সুকুমার স্টাইল’) গাছে উঠে ছবি তোলা, সবুজ মাঠে পাতা বিহীন ছোট একটা কান্ডে একটা ছোট লতানো ফুল, কোকিল দোয়েলের মিষ্টি সুরের ডাক সত্যিই মনমুগ্ধকর।


বসন্তের পাতা ঝরার শব্দ বা ঝরে পরা পাতার সাথে পায়ের ঘর্ষনে সৃষ্ট গান এখনও কানে বাজে। এ সুর অনেকদিন মনে রয়ে যাবে মনে হচ্ছে...


আবু হাসানাত দিপু
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কিছু কথা~ ৭

১। ময়দা আর নারী একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। ময়দা ছাড়া নব্য প্রেমিক ললনা কল্পনা করা যায় না। আর দিনটি যদি হয় ভালবাসা দিবসের মত দিন তাহলে তো কথাই নেই। অবশ্য এক্ষেত্রে ময়দা মাখানোর কেন্দ্রগুলোর চমৎকার ব্যবসা হয়...।

২। ৩০ টাকা পকেটে নিয়ে বই মেলার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলাম। ৫ টাকা বাস ভাড়া দিলাম বাকি থাকল ২৫। সারাদিন ব্যাপী পরিকল্পনা করছি বই মেলা থেকে ঘুরে এসে চারুকলায় জলের গান‬ শুনবো। বাস থেকে শাহবাগ নেমে চারুকলা আসতে না আসতে সারাদিনের পরিকল্পনা শেষ। এবারের মেলায় একদিনও খালি হাতে ফিরি নাই আজকে ফিরতে হবে, তাছাড়া ভালবাসারত কপোত-কপোতিদের জ্বালায় বই দেখতে পারব না এই চিন্তা করে জলের গান উপভোগ করে বাসার পথ ধরলাম।

৩। রাস্তায় যার দিকে তাকাই তার হাতেই ‪‎ডিএসএলআর‬ । মানুষের চেয়ে ক্যামেরার সংখ্যা বেশী। বলি ডিএসএলআর কি এতই সস্তা হয়ে গেছে...???

৪। যে সিরিজ জিততে পারতাম ২-০ তে তা হারলাম ২-০ তে। আর কতদিন আমাদের এই আক্ষেপের হার হারতে হবে...???

৫। কালকে কিন্ত চুইংগাম দিবস। প্রেমিকাকে আবার চুইংগাম গিফট করতে যাইয়েন না। বলবেন আমি নিজেই চুইংগাম হয়ে যাব, আর তুমি ইচ্ছেমত আমাকে চর্বণ করবে। এভাবেই সকল ছেলেরা চর্বিত হতে হতে নিজেদের প্রেমিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে...।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ভালবাসা কথন...

১। ভালবাসা, বসন্ত, চুমাচুমি সব দিবস একসাথে...।। ভালই হল নব্য প্রেমিকদের এক বাজেটে ৩ দিবস পালিত হয়ে যাবে। আগামী দুইদিন দেশে চাল-ডালের অভাব হলেও ভালবাসা বিনিময়ের অভাব দেখা যাবে না। ঝোপে-ঝাড়ে, গাছের চিপায়, রিকশায়, প্রাইভেট কারে, হোস্টেল মেসে, লিটনের ফ্ল্যাটে সব জায়গায় দেখা যাবে ভালবাসার নিরলস বিনিময়। এত ভালবাসা বিনিময়ের পরও কেউ হতে পারবে না সম্রাট শাহজাহান বা কোন এক নিভৃতিচারী প্রকৃতি প্রেমিক। তবু আমরা পালন করে যাব এই সব বানোয়াট- অপ্রয়োজনিয়-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দিবস।

২। ভালবাসা দিবসের সব টিভি অনুষ্ঠানে তাহসানের প্রাধান্য। বুঝলাম না তাহসান কেন আমাদের জাতীয় প্রেমিক হবে। এটা নিশ্চিত বিরোধী দলের চক্রান্ত, নাহলে আরেফিন রুমি যেখানে ভালবাসার জন্য বার বার জেলে যায়, এরশাদ কাকু যেখানে ৯০ এ পা দিয়েও নতুন প্রেমিকা খুজে বেড়ায় সেখানে তাহসান কিভাবে জাতীয় প্রেমিক হয়...??? 

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বইমেলা কথন.....

১। বাংলা একাডেমির গেটের পাশে ফুটপাথে এক বাবা ও তার ৮-৯ বছরের ছেলে বাচ্চাদের বই বিক্রি করছে। ছেলেটা ফোরে পড়ে। আর দশটা শিশুর মতোই চঞ্চল। তবে ব্যবসাটা মনে হয় ভালই বুঝে। প্রতিটা বইয়ের দাম দশ টাকা। ৬ টা বই যেখানে তার বাবা ৫০ টাকায় দিচ্ছে না সে তার সাথে আরেকটা যোগ করে ৬০ টাকায় দিয়ে দিচ্ছে। তার বাবা যেখানে ক্রেতার চাহিদা মত বই খুজে দিতে পারে না সে তা নিমিষেই খুজে দেয়, তারপর তার বাবাকে বলতে থাকে ‘আব্বা না কিচ্ছু বুঝে না......’।
২। ১২-১৩ বছরের এক মেয়ে সাথে ৯-১০ বছরের আরেকজন সম্ভবত ছোট বোন এক স্টলে এসে হাসির বই চাইল। কিন্ত কেও তাকে হাসির বই কোনটা তা বলতে পারলো না। শেষে বলল এই সারিতে সবই নাকি হাসির বই......।
৩। এক বিক্রেতা বাবার সাথে আসা ছোট বাচ্ছাকে বলতেছে তোমার কি বই পছন্দ? ভূতের বই? এই দেখ এটা ভূতের বই। এটা পড়লে তুমি ভূতদের কথা জানতে পারবা। আম গাছের ভূত কি করে, কি খায়, কোথায় ঘুমায়, আরও অনেক কিছু......।
৪। ‘বিশ্বসাহিত্য ভবন’ প্রকাশনীর বাবুল সিরাজীর উপন্যাস ‘উতল হাওয়ায়’ কিনতে গেলাম যেটা আমার লিস্টে ছিল তাই আর কিছু না দেখে নিজেই টেবিল থেকে খুজে বললাম এটা দেন। দিল, তারপর বলল লেখক কে চিনি কিনা? বইটা কেন কিনলাম? আমি বললাম আমি এটার রিভিও পড়েছি, ভালো লাগছে তাই কিনলাম...। ও, ঠিক আছে উনার জবাব। মেলা থেকে বাইরে এসে বইয়ের পেছনে লেখকের ছবি দেখলাম, বিক্রেতা আর লেখক একই ব্যক্তি......

৫। অবশেষে পকেট ফাঁকা করে অনেক বই কিনলাম। তবে নিজের জন্য একটাও কিনিনাই সবই প্রিয়জনকে দেওয়ার জন্য.........বইয়ের ঝোঁলা নিয়ে হাঁটতে পারছিলাম না তবুও হাঁটলাম বাংলা একাডেমি থেকে কলাবাগান...।