পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৪

হিযবুত তাহরীর সংবিধান...???

সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে খিলাফত হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্টার পর তারা যে সংবিধানে দেশ চালাবে তার খসড়া কপি (গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল অবস্থা)।
তো চলুন দেখে আসি তাদের সংবিধানের কয়েকটি ধারা...

১। স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগকারীদের "মুরতাদ" ঘোষণা করে তাদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা।
০।
১। ১৫ বছর বয়সী এবং তদুর্দ্ধ মুসলিম পুরুষের জন্য জিহাদের প্রস্তুতি হিসেবে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা।
০।
১। বাংলাদেশে বসবাসরত অমুসলিমদের তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুসরণ এবং উপাসনা করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অনুমতি নেয়া।
০।
১। অমুসলিমদের আহার এবং পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়াহর বেঁধে দেয়া সীমানার মধ্যে থাকা।
০।
১।  রাষ্ট্রের শাসক পদ থাকবে চারটি- খলিফা, মুওয়াউয়িন তাফউয়িদ, ওয়ালি এবং আ'মিল। বাকি সব হবে কর্মচারীর পদ।
০।
১। শাসকের পদে অমুসলিম এবং নারীদের নিষিদ্ধ করা হবে।
০।
১। ইসলাম বর্হিভূত অন্য কোন মতবাদের উপর ভিত্তি করে দল গঠন নিষিদ্ধ করা হবে।
০।
১। খলিফা নির্বাচনে এবং বিচার বিভাগের অমুসলিম ও নারীদের নিষিদ্ধ করা।
০।
১। নারী ও পুরুষের মেলামেশা একমাত্র ক্রয়-বিক্রয় ও হজ্ব ছাড়া নিষিদ্ধ।
০।
১। সম্পদের সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক করা যাবেনা।

এদের সংবিধান দেখে আমার নকুল কুমার বিশ্বাসের গানটা মনে পড়ে গেল...
"খালি কলসি বাজে বেশি, ভরা কলসি বাজে না
রূপ নাই তার সাজোন বেশি, রূপের মাইয়া সাজে না"

* সংখ্যায়নে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে......

চলমান দিনকাল~ ২


১।  ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গেলাম। টাকার পরিমান ১৬,৩৪৯/= । আমি দিলাম ১৬,৫০০। 
মহিলা ম্যাডাম টাকা জমা নিয়ে জিজ্ঞাস করলেন, "কত টাকা back পাবেন?
"১৫১ টাকা"- আমার উত্তর।
উনি উনার টাকার বাক্সে অনেক খুঁজাখুঁজি করেও ১ টাকা বের করতে পারলেন না। পাশের টেবিলে বসা উনার বান্ধবীর কাছেও খুঁজলেন পেলেন না। 
তারপর টাকার বান্ডিলে অনবরত হাতুড়ি পেটাতে থাকা লোককে ভাইয়া সম্বোধন করে উনার কাছে চাইলেন। উনিও ব্যর্থ।
অবশেষে মহিলা ম্যাডাম হাসি মুখে বললেন "১ টাকা কম নিতে হবে..."
আমি বললাম " সমস্যা নাই। তবে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয় তার জন্য একটা বুদ্ধি দিতে পারি, "১ টাকা দামের কিছু ক্যান্ডি নিয়ে আসতে পারেন।"

২।  সবাই তামিম ইকবাল কে বকাবকি করতেছেন আরে ভাই ও তো ঠিক কাজই করতেছে। ও যে ওপেনার, খেলা ওপেন করে দেয়াই তার কাজ......... 

৪। জন্ম থেকেই আমাদের তিন দিনে টেস্ট শেষ করার অভ্যাস সেটা হারা বা জেতা ব্যাপার না।


৮। ...............!!!

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪

নিভৃতচারীকে স্মরণ...

লেখার মাধ্যমে প্রকৃতির গভীরতা এতো সুন্দর ভাবে বোঝানো যায়, প্রকৃতির এতো গভীরে চলে যাওয়া যায় জীবনান্দের কবিতা পড়ার আগে তা আমার জানা ছিল না।

নিভৃতচারীর বিদায় দিনে নিভৃতচারী পাঠকের পক্ষ থেকে স্মরণ......


যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে রবো — অন্ধকারে নক্ষত্রের নিচে
কাঁঠাল গাছের তলে হয়তো বা ধলেশ্বরী চিলাইয়ের পাশে –
দিনমানে কোনো মুখ হয়তো সে শ্মশানের কাছে নাহি আসে –
তবুও কাঁঠাল জাম বাংলার- তাহাদের ছায়া যে পড়িছে
আমার বুকের পরে — আমার মুখের পরে নীরবে ঝরিছে
খয়েরী অশথপাতাত — বইচি, শেয়ালকাঁটা আমার এ দেহ ভালোবাসে,
নিবিড় হয়েছে তাই আমার চিতার ছাইয়ে — বাংলার ঘাসে
গভীর ঘাসের গুচ্ছে রয়েছি ঘুমায়ে আমি, — নক্ষত্র নড়িছে

আকাশের থেকে দূর-আরো দূর-আরো দূর-নির্জন আকাশে
বাংলার-তারপর অকারণ ঘুমে আমি পড়ে যাই ঢুলে।
আবার যখন জাগি, আমা শ্মশানচিতা বাংলার ঘাসে
ভরে আছে, চেয়ে দেখি,-বাসকের গন্ধ পাই-আনারস ফুলে
ভোমরা উড়িছে,শুনি-গুবরে পোকার ক্ষীণ গুমরানি ভাসিছে বাতাসে
রোদের দুপুর ভরে-শুনি আমি; ইহারা আমার ভালোবাসে-

_________জীবনানন্দ দাশ (যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে রবো)