পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৩

চিন্তিত~ ৪: মিডিয়া ও কিছু কথা


জাতির এই বিপদের দিনে মিডিয়াগুলো কীভাবে সাহায্য করা যায় সে চেষ্টা করবে না তাদের কাছ থেকে আমরা পাচ্ছি উল্টোটা সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কর্মী বা অন্যান্য প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মীর পাশাপাশি সাধারন জনতা কতটা উদ্ধার কাজে অংশগ্রহন করছে তা না দেখলে কারো পক্ষে বুঝা সম্ভব না আমি বলব সরকারি  উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি সাধারন জনতার অবদান কোন অংশে কম না
টি এন বাংলার সাংবাদিক মুন্নি সাহাকে বলতে শুনলাম, “হেফাজতে ইসলামের লোকেরা সাদাকাপড় মাথায় দিয়ে কাউকে জীবিত মৃত উদ্ধার করা গেলে লা-ইলাহা-ইল্লাললাহ বলে শ্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে এরা উদ্ধার করার নামে জিনিস পত্র চুরি করতে এসে থাকতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করছেন তিনি

গত তিন দিন ধরে হাজার হাজার মানুষ দিনরাত কাজ করতেছে চুরি করার জন্য???
নিজের পকেটের টাকা খরচ করে খাবার পানি অক্সিজেন কিনতেছে চুরি করার জন্য???

সাধারন রির্পোটাররা না হয় চাপা পড়া লোকদের অনুভূতি বা সাক্ষাতকার জানতে পারেন কিন্তু সিনিয়র সাংবাদিকরা কি করে এসব বলেন????

আর মুন্নি সাহা তো আগে থেকেই সিরাম বেয়াদপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

আমার মনে হয় কেউ  যদি উদ্ধার কাজে সমস্যা করে থাকে তাহলে তারা একমাত্র মিডিয়া। আজ বিকালের  আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ব্রিফিংয়েও মিডিয়া কর্মীদের উদ্ধার কাজের সমস্যা হয় এই রকম কিছু করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।

মিডিয়া কে বলছি লাশ গুম করার চেষ্টা চলছে ঐ দিকে নজর দেন, অপরাধীদের ধরতে সাহায্য করেন।


বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৩

কিছু কথা~ ৪

১) যাই হোক ‘হরতাল’ বা হরতালকারীদের নিয়ে আর কোন মন্তব্য করতেছি না। মৌলবাদী হরতালকারীরা সুপারম্যান নিয়ে হরতাল পালন করতে মাঠে নামে যাদের কাজ বিল্ডিং এর স্তম্ভ গেট ধরে নাড়াচাড়া করে ভবন ধ্বংস করা।
আমারে মাফ করেন ভাই……আমার কুঁড়েঘর ধরে নাড়াচাড়া করতে হবে না আপনাদের পায়ের আওয়াজেই ভেঙ্গে যাবে। তাই দয়াকরে আমার বাড়ির দিকে আইসেন না।

২) সাভারে মৃতের সংখ্যা  ২০০+

৩) ১ জনরে গর্ত থেকে টেনে তুলতে ৩ জন লাগবে কেন?

: ১ জনরে ১জনেই টেনে তুলে। অন্য আরেকজন উৎসাহী দর্শকদের ভিড় সামলানোয় সাহায্য করে।



: ২ জনের হিসাব পাইলাম, ৩ জন বললা যে?
: ওহ, তৃতীয়জন হইল গিয়া টিভির রিপোর্টার, গর্তে মাইক্রোফোন ঢুকাইয়া জিগাইব-ভাই, আপনি কি এখন গর্তে আছেন?

৪) পবিত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর সাহেব এটা কি বললেন.......????
এতদিন ভাবতাম যাই হোক সকল বাঙালি জাতির মাথায় ই যখন কিছু কিছু গোবর আছে মন্ত্রীদের মাথায় কিছু থাকলে সেটা দোষের কিছু না........ কিন্তু এখন দেখতেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথায় গোবর না একদম মানব হা** ভর্তি। তাও যেন তেন নয় একদম পাতলা ডায়রিয়ার পাতলা.......




৫) সাভারে ভবনধসের ঘটনার পর বিকাল ৩:৩০ মিনিটে ১৮ দলের ডাকা  হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ভাল তো...ভাল না...???
সারাদিন হরতাল পালন ও হল শেষ সময়ে এসে হরতাল প্রত্যাহার করে জনগনের সাথে সহানুভূতি ও পালন হইল।
একেই বলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা.......

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩

চিন্তিত~ ৩ : সুন্দরবন কি ধ্বংস হতে যাচ্ছে ???


বাগেরহাটের রামপালে সুন্দরবন লাগোয়া ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত হতে যাচ্ছে এই কেন্দ্র। রামপালের এই কয়লাভিত্তিক এ কেন্দ্রটি খুলনা শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার ও মংলা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। এমনকি সুন্দরবন থেকেও মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
জ্বালানি সমস্যাই আমাদের প্রধান সমস্যা। সরকার জ্বালানির সংকট নিরসনে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। আগে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। বর্তমানে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হলো। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে একটি প্রশ্নই বারবার উঠে আসছে,আর তা হলো- সুন্দরবনের এত কাছে কেন নির্মিত হবে এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র? আর কি কি পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ?
সরকারি পরিবেশ সমীক্ষা (ইআইএ)অনুযায়ী, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বছরে ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা ইন্দোনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সমুদ্র পথে আমদানী করতে হবে। আমাদানীকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজের মাধ্যমে মংলা বন্দরে এনে তারপর সেখান থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সুন্দরবনের ভেতরে পশুর নদীর গভীরতা সর্বত্র বড় জাহাজের জন্য উপযুক্ত না হওয়ার কারণে প্রথমে বড় জাহাজে করে কয়লা সুন্দর বনের আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত আনতে হবে, তারপর আকরাম পয়েন্ট থেকে একাধিক ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে কয়লা মংলাবন্দরে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য সুন্দর বনের ভেতরে হিরণ পয়েন্ট থেকে আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত ৩০ কিমি নদী পথে বড় জাহাজ বছরে ৫৯ দিন এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিমি পথ ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে বছরে ২৩৬ দিন হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহন করতে হবে!
সরকারের পরিবেশ সমীক্ষাতেই স্বীকার করা হয়েছে, এভাবে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করার ফলে-
১) কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ থেকে কয়লার গুড়া, ভাঙা /টুকরো কয়লা, তেল, ময়লা আবর্জনা, জাহাজের দূষিত পানি সহ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নি:সৃত হয়ে নদী-খাল-মাটি সহ গোটা সুন্দরবন দূষিত করে ফেলবে।
২) সুন্দরবনের ভেতরে আকরাম পয়েন্টে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে কয়লা উঠানো নামানোর সময় কয়লার গুড়া, ভাঙা কয়লা পানিতে/মাটিতে পড়ে- বাতাসে মিশে মাটিতে মিশে ব্যাপক পানি-বায়ু দূষণ ঘটাবে।
৩) চলাচলকারী জাহাজের ঢেউয়ে দুইপাশের তীরের ভূমি ক্ষয় হবে।
৪) কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ ও কয়লা লোড-আনলোড করার যন্ত্রপাতি থেকে দিনরাত ব্যাপক শব্দ দূষণ হবে।
৫) রাতে জাহাজ চলের সময় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণী সহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুন্দরবনের পশু-পাখির জীবনচক্রের উপর মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে ইত্যাদি।
সুন্দরবন পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘতম ম্যানগ্রোভ বন। যেখানে ২৪০০০ প্রজাতির প্রাণীকুলের বসবাস রয়েছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশগত দিক থেকে সুন্দরবনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সুন্দরবনের বাঁচা মরার উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ টি জেলার বাঁচা মরা। ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জীববৈচিত্রের জন্য সুন্দরবনকে ‘ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট’ ঘোষণা করে। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ৩০ আগস্ট ১৯৯৯ অপরিকল্পিত কার্যকলাপের কারণে সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এখন প্রশ্ন এটাই যে এত কারণের পরেও কেন সুন্দরবনে নির্মিত হতে যাচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র? যদিও পরিবেশবিদদের আশংকার জবাবে পিডিবির চেয়ারম্যান বলেছেন, এ কেন্দ্র পরিবেশের জন্য কোনো ক্ষতির কারণ হবে না। তিনি আরো বলেন, এ কেন্দ্র থেকে কয়লা পোড়ানোর ফলে যে ‘অ্যাশ’(ছাই) বের হবে তা ‘ক্যাপচার’ করার জন্য উচ্চ ক্ষমতার সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে। তবু আশংকা মুক্ত হতে পারছেন না কেউই। পরিবেশবিদ গণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মনেও এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে জন্ম হয়েছে নানা প্রশ্নের।   
বাগেরহাটের পশুর নদের তীরে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে এর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া আচ্ছন্ন করে ফেলবে সুন্দরবন এলাকার নির্মল আকাশ। চিমনি দিয়ে উগরানো ছাই বিস্তীর্ন এলাকার বাতাসে ঘটাবে মারাত্মক দূষণ। কারখানাটির কার্বন, পারদ, সিসা, আর্সেনিকসহ নানা বর্জ্য সরাসরি দূষিত করবে নদীনালার পানি। পরিবেশ বিদগণের একটা বড় অংশ তাই আশংকা করছেন যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে সুন্দরবন পৌঁছে যাবে নিশ্চিত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৩

কিছু কথা~ 3


) বাংলাদেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায়  আব্দুল হামিদ এডভোকেট কে অভিনন্দন।

) হরতালের আগের দিন এখন থেকে বাসের সুপাভাইজারদের উচিত যাত্রীদের চেক করে বাসে তোলা…… যাদের কাছে দিয়াশলাই, পেট্রোল ইত্যাদি পাওয়া যাবে তাদের উঠতে দেয়া যাবে না। যাত্রী সেজে বাসে উঠেই নাকি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

) এখন আর হরতাল কে হরতালের মত  মনে হয় না…… বিরোধী দলকে বলছি এখন এই  হরতাল নামক মেগা সিরিয়াল বাদ দেন।

) ভব রঙ্গ নাট্য মঞ্চে করে যাচ্ছি অভিনয়………জীবনটা আসলেই একটা নাট্য মঞ্চ আমরা অভিনেতা।

) ২০২৩  সালে মঙ্গলে বসবাসের উদ্দেশ্যে পৃথিবী ছাড়বেন চার জন……আপনার সিরিয়াল নিশ্চিত করুন আজই।

) মধুমাস চলছে……..কাঁঠাল   পাকতে শুরু করছে…….গোঁফে  তেল দেওয়া কবে শুরু করছেন ?????

রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৩

শুভ নববর্ষ......


এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।

সকল দুঃখ বেদনা দূরে সরিয়ে নববর্ষ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তির বার্তা.....
শুভ নববর্ষ.........

শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৩

রকমারি~ ৪


) বিদায় ১৪১৯………………….!!!!!!!!!!

) প্রথম আলোর এবারের কিশোর নববর্ষ সংখ্যা টা ঠিক কিশোর হয়নি একদম বাচ্চা বাচ্চা হয়ে গেছে……

) হাসিনা-খালেদার নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ড বিনিময় - উনারা নিজেরা নিজেরা ঠিকই আছেন যত সমস্যা সব আমজনতার।

) মাহমুদুর রহমান ১৩ দিনের রিমান্ডে- পুলিশের আবেদন ছিল ২৪ দিনের।

) ১৭ ১৮ এপ্রিল ফের হরতালঃ বলি!!!!! বেগম জিয়া কি হরতাল বাংলালিংক দামে পাইছেন????? উনার উচিত রবি সিম ব্যবহার করে দেশপ্রেমিক হওয়ার......