এই পাতার সকল মতামত সম্পূর্ন ব্যক্তিগত, অনিচ্ছাকৃত ভাবে যদি কারও সাথে মিলে যায় তাহলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫
শনিবার, ৪ জুলাই, ২০১৫
সঙ্গীতনামা......
Bidyanondo- র টিমবিল্ডিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতমাসের গাজীপুর ভ্রমণের সময় বাসে তোলা একটি ছবি।
আমাকে দাড় করিয়ে দেয়া হল গান গাইতে।
জীবনে প্রথম এবং শেষবার অনেকটা বাধ্য হয়েই গান গেয়েছিলাম ক্লাস ফাইভে থাকাকালীন।
ম্যাডাম একদিক থেকে সবাইকে গান গাওয়ানো শেষ করে আমার কাছে আসলেন।
আমি বললাম "আমি গান জানি না"
-তোমাকে গান গাইতেই হবে। সবাই গেয়েছে...
-আমি গান গাইতে পারি না।
-কোন গানই না?
-না।
-ওকে। জাতীয় সঙ্গীততো পারো। এসেম্বলিতে নিয়মিত গাও।
-হ্যাঁ পারি! (ঠিকমত ধরা)
-তাহলে জাতীয় সঙ্গীতই গাও।
অবশেষে জাতীয় সঙ্গীত আবৃত্তি! করে সেদিনের মত রক্ষা পেয়েছিলাম।
যাইহোক ওইদিন বাসেও রক্ষা পেয়েছিলাম। মাইক হাতে দাড়িয়ে আছি সবার অনুরোধের তীর না অর্ডারের তীর চারদিক থেকে ছুটে আসছে।
তারপর মোবাইলে জলের গান চালু করে মাইকে ধরে বাঁচার চাঞ্চ নিলাম। কিন্তু না...
অবশেষে বাঁচার উপায় না দেখে চিন্তা করতেছি কোন গানের দুই চরণ আবৃত্তি করতে পারি। এমন সময় কেউ একজন চিৎকার করে উঠলো "মামা বাস থামান" আমাদের লোক উঠবে।
অবশেষে আমাদের বাকি একজন স্বেচ্ছাসেবক যিনি রাস্তা থেকে বাসে উঠবেন বলে জানিয়েছিলেন উনার দেখা পাওয়া গেছে। সবাই বাসে উঠে গেছে সুতরাং এখন নাস্তা করার সময়। নাস্তার পরে অবশ্য কেউ জোড়াজুড়ি করেননি (মনে হয় বুঝতে পেরেছিলেন আমার দ্বারা গান সম্ভব না :p )
সেদিনকার মত ডিম, কলা, রুটির কল্যাণে বেঁছে গিয়েছিলাম... !
মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫
বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
মঙ্গলবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ফ্রিল্যান্সারের পাত্রী খোঁজা
পাত্রীপক্ষ পাত্রকে দেখতে এসেছে। চারপাশ ঘিরে আছেন মুরব্বিরা। অনেক আশা তাঁদের, মনে অনেক কিছু জানার বাসনা। তবে হাল আমলের দুনিয়াদারির খবরাখবর স্বাভাবিকভাবেই নেই তাদের কাছে। তেমনই এক বিবাহের আলাপ........
-বাবা তুমি কোথায় কাজ করো?
-এই তো একটি আমেরিকান ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফার্মে সিনিয়র ওয়েব প্রোগ্রামার হিসেবে আছি।
(মহা খুশি পাত্রীপক্ষ। জেনে কয়েকজন নড়েচড়ে বসলেন। কারো কারো মুখে একচিলতে হাসি দেখা গেল।)
-তা বাবা, বিয়ের পরে আমেরিকা যাবে নাকি দেশেই কিছু করার ইচ্ছা?
-আসলে আমি আমেরিকা থাকি না। এটা রিমোট জব। দেশে বসেই আমি কাজ করি।
(প্রথম ধাক্কাটি খেল পাত্রীপক্ষ।)
-তা, বাবা, দেশে তাদের অফিস কোথায়?
-ইয়ে মানে দেশে তাদের কোনো অফিস নেই। ঘরে বসেই কাজ করি ওদের।
(পাত্রীপক্ষের গুরুজনের মনে হলো-কোথাকার কোন ধান্দাবাজের পাল্লায় পড়লাম! ফাজলামোর একটি সীমা আছে। পুরোপুরি নিরাশ হয়ে পড়লেন তাঁরা। ভদ্রতার খাতিরে কথা বলছেন এবার।)
-তারা যে তোমাকে টাকা-পয়সা দেবে, তার কোনো নিশ্চয়তা আছে?
-একটা টাকাও মিস হয় না। টাকা আনার অনেক গেটওয়ে আছে।
(এবার আলাপের ইতি টানল পাত্রীপক্ষ)
-আমরা পরে তোমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। হতচকিত ফ্রিল্যান্সার বসে থাকেন চেয়ারে।
*সংগৃহীত
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যসমূহ (Atom)
