অনেকদিন ধরে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করতেছিলাম। কিন্তু সময়, সুযোগ বা সঙ্গীর অভাবে ব্যাটে-বলে ঠিকমত মিলতেছিল না। সর্বশেষ মনে হয় ২০০৯ সালে হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছি।
ইদানিং বাংলা সিনেমায় পরিবর্তন লক্ষ্য করতেছি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে বাংলা সিনেমা যখন তার খোলস ছেঁড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে তখন একদল আবাল চেষ্টা করছে বিদেশি সিনেমা আমদানির (অনেকটা সফলও হয়েছে বলা যায়)।
যাইহোক আমার দেশের সিনেমার স্বার্থে প্রত্যাবর্তন করা উচিত এই চিন্তা করে আবার সিনেমা হলে ফিরলাম 'চিলড্রেন অব ওয়ার' নামক এক ইন্ডিয়ান সিনেমার মাধ্যমে। ইন্ডিয়ান সিনেমার মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের চিন্তা কখনোই ছিল না তবে কাহিনী যেহেতু আমাদের নিয়ে, আমাদের অর্জন নিয়ে, আমাদের ইতিহাস নিয়ে তাই কীভাবে আমাদের প্রকাশ করেছে এই চিন্তা করেই ২০০ টাকার টিকেট কেটে শ্যামলী সিনেমায় ঢুকা।
মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী, মূল সিনেমা হিন্দি, প্রধান চরিত্রে নেওয়া হয়েছে বাঙালি (কলকাতা) অভিনেতা, অভিনেত্রী, নবীন পরিচালক এই হল সিনেমার এক কথায় প্রকাশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য বেতার বরাবর পাঠানোর ভেতর দিয়ে সিনেমার শুরু। তারপরেই সিনেমার মূল চরিত্র সাংবাদিক আমির ও তার স্ত্রী ফিদার দীর্ঘ মিলন দৃশ্য পর পর নাপাকি সেনাদের প্রবেশ ও আবারও দীর্ঘ ধর্ষণ দৃশ্য। মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী ভিত্তিক সিনেমায় এরকম দীর্ঘ মিলন বা ধর্ষণের দৃশের কি হেতু বা দরকার তা আমার বোধগম্য নয়।
তারপর তিনটা আলাদা গল্পকে ভিত্তি করে এগুতে থাকে সিনেমার গল্প। একটা বর্তমান(শাহবাগ আন্দোলন) যার ৩ টা দৃশ্য পুরো সিনেমায়, একটা সকল স্বজন হারানো ভাই-বোনের আরেকটা সাংবাদিক দম্পতির যাদের নিয়ে মূল গল্প।
সাংবাদিক আমিরের স্ত্রী ফিদাকে নাপাক সেনারা ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আমির বাকি সাংবাদিকদের নিয়ে গেরিলা বাহিনী গঠন করে। দেশ স্বাধীন হয়। যুদ্ধশিশুরা নিজেদের মাকে শহীদ বা মুক্তিযুদ্ধার মর্যাদা দিতে দাবি করে.........। এটাই সিনেমার সারমর্ম......।
(চলমান......)
আবু হাসানাত দিপু
১৭ই মে, ২০১৪......।
ইদানিং বাংলা সিনেমায় পরিবর্তন লক্ষ্য করতেছি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে বাংলা সিনেমা যখন তার খোলস ছেঁড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে তখন একদল আবাল চেষ্টা করছে বিদেশি সিনেমা আমদানির (অনেকটা সফলও হয়েছে বলা যায়)।
যাইহোক আমার দেশের সিনেমার স্বার্থে প্রত্যাবর্তন করা উচিত এই চিন্তা করে আবার সিনেমা হলে ফিরলাম 'চিলড্রেন অব ওয়ার' নামক এক ইন্ডিয়ান সিনেমার মাধ্যমে। ইন্ডিয়ান সিনেমার মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের চিন্তা কখনোই ছিল না তবে কাহিনী যেহেতু আমাদের নিয়ে, আমাদের অর্জন নিয়ে, আমাদের ইতিহাস নিয়ে তাই কীভাবে আমাদের প্রকাশ করেছে এই চিন্তা করেই ২০০ টাকার টিকেট কেটে শ্যামলী সিনেমায় ঢুকা।
মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী, মূল সিনেমা হিন্দি, প্রধান চরিত্রে নেওয়া হয়েছে বাঙালি (কলকাতা) অভিনেতা, অভিনেত্রী, নবীন পরিচালক এই হল সিনেমার এক কথায় প্রকাশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য বেতার বরাবর পাঠানোর ভেতর দিয়ে সিনেমার শুরু। তারপরেই সিনেমার মূল চরিত্র সাংবাদিক আমির ও তার স্ত্রী ফিদার দীর্ঘ মিলন দৃশ্য পর পর নাপাকি সেনাদের প্রবেশ ও আবারও দীর্ঘ ধর্ষণ দৃশ্য। মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী ভিত্তিক সিনেমায় এরকম দীর্ঘ মিলন বা ধর্ষণের দৃশের কি হেতু বা দরকার তা আমার বোধগম্য নয়।
তারপর তিনটা আলাদা গল্পকে ভিত্তি করে এগুতে থাকে সিনেমার গল্প। একটা বর্তমান(শাহবাগ আন্দোলন) যার ৩ টা দৃশ্য পুরো সিনেমায়, একটা সকল স্বজন হারানো ভাই-বোনের আরেকটা সাংবাদিক দম্পতির যাদের নিয়ে মূল গল্প।
সাংবাদিক আমিরের স্ত্রী ফিদাকে নাপাক সেনারা ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আমির বাকি সাংবাদিকদের নিয়ে গেরিলা বাহিনী গঠন করে। দেশ স্বাধীন হয়। যুদ্ধশিশুরা নিজেদের মাকে শহীদ বা মুক্তিযুদ্ধার মর্যাদা দিতে দাবি করে.........। এটাই সিনেমার সারমর্ম......।
(চলমান......)
আবু হাসানাত দিপু
১৭ই মে, ২০১৪......।