পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

অসমাপ্ত সমাপন.........! ~১

অনেকদিন ধরে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করতেছিলাম। কিন্তু সময়, সুযোগ বা সঙ্গীর অভাবে ব্যাটে-বলে ঠিকমত মিলতেছিল না। সর্বশেষ মনে হয় ২০০৯ সালে হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছি। 
ইদানিং বাংলা সিনেমায় পরিবর্তন লক্ষ্য করতেছি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে বাংলা সিনেমা যখন তার খোলস ছেঁড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে তখন একদল আবাল চেষ্টা করছে বিদেশি সিনেমা আমদানির (অনেকটা সফলও হয়েছে বলা যায়)। 

যাইহোক আমার দেশের সিনেমার স্বার্থে প্রত্যাবর্তন করা উচিত এই চিন্তা করে আবার সিনেমা হলে ফিরলাম 'চিলড্রেন অব ওয়ার' নামক এক ইন্ডিয়ান সিনেমার মাধ্যমে। ইন্ডিয়ান সিনেমার মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের চিন্তা কখনোই ছিল না তবে কাহিনী যেহেতু আমাদের নিয়ে, আমাদের অর্জন নিয়ে, আমাদের ইতিহাস নিয়ে তাই কীভাবে আমাদের প্রকাশ করেছে এই চিন্তা করেই ২০০ টাকার টিকেট কেটে শ্যামলী সিনেমায় ঢুকা।

মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী, মূল সিনেমা হিন্দি, প্রধান চরিত্রে নেওয়া হয়েছে বাঙালি (কলকাতা) অভিনেতা, অভিনেত্রী, নবীন পরিচালক এই হল সিনেমার এক কথায় প্রকাশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য বেতার বরাবর পাঠানোর ভেতর দিয়ে সিনেমার শুরু। তারপরেই সিনেমার মূল চরিত্র সাংবাদিক আমির ও তার স্ত্রী ফিদার দীর্ঘ মিলন দৃশ্য পর পর নাপাকি সেনাদের প্রবেশ ও আবারও দীর্ঘ ধর্ষণ দৃশ্য। মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী ভিত্তিক সিনেমায় এরকম দীর্ঘ মিলন বা ধর্ষণের দৃশের কি হেতু বা দরকার তা আমার বোধগম্য নয়।

তারপর তিনটা আলাদা গল্পকে ভিত্তি করে এগুতে থাকে সিনেমার গল্প। একটা বর্তমান(শাহবাগ আন্দোলন) যার ৩ টা দৃশ্য পুরো সিনেমায়, একটা সকল স্বজন হারানো ভাই-বোনের আরেকটা সাংবাদিক দম্পতির যাদের নিয়ে মূল গল্প।
সাংবাদিক আমিরের স্ত্রী ফিদাকে নাপাক সেনারা ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আমির বাকি সাংবাদিকদের নিয়ে গেরিলা বাহিনী গঠন করে। দেশ স্বাধীন হয়। যুদ্ধশিশুরা নিজেদের মাকে শহীদ বা মুক্তিযুদ্ধার মর্যাদা দিতে দাবি করে.........। এটাই সিনেমার সারমর্ম......।
(চলমান......)

আবু হাসানাত দিপু
১৭ই মে, ২০১৪......।

কিছু কথা~~ ৯

১। দেশে কোন ছেলে A+ পায় নাই। সব মেয়েরা পেয়েছে............ 
দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলো অন্তত তাই বুঝাতে চেয়েছে.........। আমি ও বুঝেছি......।

২। কাণ্ডারি ১০০% A+ এর আর কত দেরি.........? 

৩। নরেন্দ্র মোদি বা বকরির লাদি যেই ক্ষমতায় আসুক তাতে আমার বা আমার বাপের কিছু আসে যায় না। যাদের আসে যায় তারা ইতিমধ্যে শুভেচ্ছার নাম করে পা চাটা শুরু করে দিয়েছে......।।

৪। চিন্তা করতেছি গলির মোড়ে একটা চায়ের দোকান দিবো। ১০ বছর পর চা বেচে কোটিপতি হলে রাজনৈতিক দল গঠন করে নরেন্দ্র মোদি হয়ে যাবো......।।

আবু হাসানাত দিপু
১৮ই মে, ২০১৪।

গালগল্প~~১

১।   ফেসবুকের Home পেজের পাশে The People You May Know তে দেখলাম ঐশী নামের একজন। আমার সাথে ১৫ টা Mutual Friends. মেসেজ করলাম......

আমিঃ হ্যালো...! 
ঐশীঃ hi!
আমিঃ কেমন আছেন?
ঐশীঃ valo. apni? 
আমিঃ হু ভালো। কবে ছাড়া পেলেন?
ঐশীঃ mane....?  
আমিঃ এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন? নেশার জন্য বাবা- মা কে কেন খুন করতে গেলেন...... 

তারপর উনাকে আর মেসেজ দেওয়া যায়নি.........।

ভালোই চমকে দিলাম মনে হয়......।।   


২।   মডেমের সীমাবদ্ধ প্যাকেজ ব্যবহার করতে করতে বিরক্ত। তাই ইদানিং বর্ডব্যান্ডের খোঁজখবর করতেছি। সন্ধায় বিজ্ঞাপন দেখে এক জায়গায় ফোন দিলাম। জিজ্ঞাসা করলাম--
- আপনাদের ৫১২ কেবিপিএস রেট কত?
- ৬৫০ টাকা।
-ও... বেশি হয়ে গেল না?
-কেন? কীভাবে?
- না, মানে ৫০০ টাকার মধ্যে হবে না?
-হবে। ২০১৬ সালে।
-ভালো। তা ২০১৬'র প্রথম দিকে নাকি বাজেট-টাজেটের পর?
-না। প্রথম দিকেই।
-ও। তাহলে তো আর বেশি দেরি নাই। মাত্র ১৯ মাস। আমার জন্য বুকিং দিয়ে রাইখেন...।।

ভদ্রলোক লাইন কেটে দিল। সংযোগ ফ্রী কিনা, কোন ব্র্যান্ডের কোন তার ব্যবহার করবে, এফটিপি সার্ভার আছে কিনা কিছুই জানা হল না.........

৩। অনেকদিন পর চাঁদ আমার সাথে হাটলো। সবসময় সুযোগ মত পাই না, আজকে পেয়ে গেলাম এবং অনেকটা পথ বলতে গেলে জোর করেই হাটালাম। 

ইচ্ছা করেই একবার ডানে একবার বামে, কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে আবার কিছুক্ষণ জোরে হাঁটলাম বা দৌড়ালাম। 

বেচারা চাঁদ মামা কিছু করতে না পেরে একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর আমায় অনুকরণ করতে লাগলো............।

আবু হাসানাত দিপু
১৮ই মে, ২০১৪।