১) কিছু পত্রিকায় দেখলাম
(জামাত-শিবির নিয়ন্ত্রিত) নবম-দশম শ্রেনির নতুন কারিকুলামের “ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা'' বইয়ে (৮২ পৃষ্ঠায়) নাকি বলা হয়েছে “দেবদেবীর নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত হালাল” এবং আল্লাহ্ র সাথে নাকি দেবদেবীর তুলনা করা
হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে সেখানে লেখা আছে "দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম!"
এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করে বসে মনযোগ দিয়ে পড়ে দেখুন কি লেখা আছে…….
বোর্ড অবশ্য শুদ্ধকে ভুল বলে স্বীকার করে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্ঠা চালাচ্ছে……..
২) আজ ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী আজকের এই দিনে নারী দিবস পালিত হয়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে দেখা যায় নারীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান, পত্রিকাগুলোতে ও থাকে বিশেষ ফিচার পাতা। জায়গায় জায়গায় আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান ও র্যালীর।
আজ দুপুর ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাসে যাওয়ার সময় দেখলাম তিন দলে ১৫ জন করে প্রায় ৪৫ জন নারী ব্যানার নিয়ে দাড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছে, জনা বিশেক লোক (মনে হয় সাংবাদিক) তাদের ছবি তোলছে। একজন পুরুষ মাইকে অগ্নিঝরা (আমার মনে হয়েছে) ভাষণ দিচ্ছে। তাকে দেখে বাসে আমার পাশে বসা দু জন তরুণ বলে উঠল উনি কি মহিলা নাকি? (অবশ্য এতটা মার্জিত ভাষা ব্যবহার করে নি)
নারীদের অধিকার রক্ষার যে সব ব্যবস্থা বর্তমানে চালু আছে তা দিয়ে নারী পুরুষের সমতা কোন দিন সম্ভব বলে মনে হয় না। নারীদের জন্য বাসে কয়েকটি সিট বরাদ্দ দিয়ে, নারী কোটায় চাকরি কিংবা সংসদে সংরক্ষিত আসন দিয়ে নারীর অধিকার নিশ্চিত হয় না বরং তা হয় নারীকে চরমভাবে অপমান করা। আর এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০০ বছরেও নিশ্চিত হবে না নারীর অধিকার। কেবল আমাদের নিজ নিজ সচেতনতাই পারে নারীদের সমতা দিতে, সন্মান দিতে তাদের প্রাপ্য অধিকার দিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন