বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল
সকাল ৬ টা থেকে সারা দেশে ৩৬ ঘন্টা ব্যাপী বিশাল এক উন্মুক্ত বর্বর মারামারির খেলা
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত খেলায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি
ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি নামক দুই দল অংশগ্রহন করবে। খেলা সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল:
দল:
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি।
স্থান:
সারাদেশ (রাস্তাঘাট, মসজিদ,
মন্দির)।
খেলোয়ার:
১) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি:
অসংখ্য প্রশিক্ষিত পুলিশ, র্যাব, ও বিজিবি সদস্য যাদের মস্তিষ্কে কোন if…..else ফাংশন নেই। একটা ফাংশন ই ইনস্টল করা। শুধু মারাই তাদের কাজ।
২) মুক্তিযুদ্ধের
বিপক্ষের শক্তি:
অসংখ্য স্বল্প প্রশিক্ষিত ছাত্র ও বেকার যুবক যাদের স্লোগান
হচ্ছে “মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী”।
খেলার উপকরণ:
১) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি: রাবার বুলেটসহ বন্দুক, হ্যালমেট, গুড়া মরিচের শরবতের স্প্রে, সরিষার তেল মাখানো লাঠি,
ঢালসহ আরও অনেক কিছু……
২) মুক্তিযুদ্ধের
বিপক্ষের শক্তি: টুকরা ইট, পাথর,
দা, ছুরি, ককটেল,
কাঁচা পাকা বাঁশের লাঠি, হকিস্টিক, পেট্রোল, দিয়াশলাই,
বই, খাতা ও পেন্সিল।
খেলার নিয়ম:
প্রথমে
মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি শান্তির ব্যানারে অশান্তির মিছিল
শুরু করবে……ইট পাথর ছুড়তে থাকবে…..মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি পেলে
তাদের মারতে থাকবে…….গাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগাতে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের
পক্ষের শক্তি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি দের বাধা দিতে থাকবে। মাঝে মাঝে
সংঘর্ষ বাধবে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি পিছু হাঁটবে।
অনেকটা টম এন্ড জেরীর মত যেখানে টম হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।
তবে তাদের মধ্যে কারও তেমন কোন ক্ষতি হবে না……যদি কোন দর্শক ভুল করে মাঠে প্রবেশ করে
তবে সে মারা যাবে……তার গাড়ি ভেঙ্গে বা পুড়িয়ে ফেলা হবে। খেলা শেষে ফলাফলে মারা যাওয়া
দর্শকদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি নিজেদের খেলোয়ার বলে
চালিয়ে বেশী সুবিধা নিতে চাইবে। এভাবে সময় শেষ হলে খেলাও শেষ হবে এবং নতুন খেলার প্রস্তুতি
শুরু হবে।
বিজয়: উক্ত খেলায় দুই দলের অধিনায়ক/নায়িকা ই বিজয়ী হবে যারা এসি
রুমে ৬ স্তরের নিরাপত্তায় খেলা পরিচালনা করেন।
পরাজয়: উক্ত খেলায় পরাজিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে আম জনতা ও খেলার
মাঠ।
তাহলে
ভাইসব আসেন সবাই বিনা টিকেটের এই মজার খেলা উপভোগ করি (তবে অবশ্যই ১৭ ইঞ্চি টিভির পর্দায়……….)।