পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

মজারু~১: খেলা খেলা খেলা ......!!!!!!!


বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল সকাল ৬ টা থেকে সারা দেশে ৩৬ ঘন্টা ব্যাপী বিশাল এক উন্মুক্ত বর্বর মারামারির খেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উক্ত খেলায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি নামক দুই দল অংশগ্রহন করবে খেলা সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল:
দল:  
         মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি
স্থান:   
        সারাদেশ (রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির)
খেলোয়ার:
         ) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি:
                        অসংখ্য প্রশিক্ষিত পুলিশ, র‌্যাব, ও বিজিবি সদস্য যাদের মস্তিষ্কে কোন if…..else ফাংশন নেই একটা ফাংশন ই ইনস্টল করা। শুধু মারাই তাদের কাজ
         ) মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি:
                         অসংখ্য স্বল্প প্রশিক্ষিত ছাত্র ও বেকার যুবক যাদের স্লোগান হচ্ছে মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী

খেলার উপকরণ:
                  ) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি: রাবার বুলেটসহ বন্দুক, হ্যালমেট, গুড়া মরিচের শরবতের স্প্রে, সরিষার তেল মাখানো লাঠি, ঢালসহ আরও অনেক কিছু……
                  ) মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি: টুকরা ইট, পাথর, দা, ছুরি, ককটেল, কাঁচা পাকা বাঁশের লাঠি, হকিস্টিক, পেট্রোল, দিয়াশলাই, বই, খাতা পেন্সিল

খেলার নিয়ম:

                 প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি শান্তির ব্যানারে অশান্তির মিছিল শুরু করবে……ইট পাথর ছুড়তে থাকবে…..মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি পেলে তাদের মারতে থাকবে…….গাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগাতে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি দের বাধা দিতে থাকবে। মাঝে মাঝে সংঘর্ষ বাধবে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি পিছু হাঁটবে। অনেকটা টম এন্ড জেরীর মত যেখানে টম হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তবে তাদের মধ্যে কারও তেমন কোন ক্ষতি হবে না……যদি কোন দর্শক ভুল করে মাঠে প্রবেশ করে তবে সে মারা যাবে……তার গাড়ি ভেঙ্গে বা পুড়িয়ে ফেলা হবে। খেলা শেষে ফলাফলে মারা যাওয়া দর্শকদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি নিজেদের খেলোয়ার বলে চালিয়ে বেশী সুবিধা নিতে চাইবে। এভাবে সময় শেষ হলে খেলাও শেষ হবে এবং নতুন খেলার প্রস্তুতি শুরু হবে।

বিজয়: উক্ত খেলায় দুই দলের অধিনায়ক/নায়িকা ই বিজয়ী হবে যারা এসি রুমে ৬ স্তরের নিরাপত্তায় খেলা পরিচালনা করেন।
পরাজয়: উক্ত খেলায় পরাজিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে আম জনতা ও খেলার মাঠ।
তাহলে ভাইসব আসেন সবাই বিনা টিকেটের এই মজার খেলা উপভোগ করি (তবে অবশ্যই ১৭ ইঞ্চি টিভির পর্দায়……….)।

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৩

চিন্তিত~ ২: মুক্তিযোদ্ধের এক অবহেলিত শক্তির কথা...


বিজয়ের বেয়াল্লিশ বছর পার হলেও বীরাঙ্গনাদের অন্ধকার কাটেনি। সম্মান দিয়ে বীরের মর্যাদা দিতে পারেনি রাষ্ট্র। লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে থাকতে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের এ তরুণীরা সবার অগোচরে এখন বৃদ্ধা। তাদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভ করলেও স্বার্থপর দেশ তাদের প্রাপ্য সম্মান প্রদানে ব্যার্থ হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অংকের ভাতা পেলেও বীরাঙ্গনাদের নেই কোনো সরকারি সাহায্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুবেলা খাবারের জন্যে হাত পাততে হচ্ছে তাদের। এমনকি সামাজিক স্বীকৃতিটিও হারিয়ে গেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর।

মুক্তিযুদ্ধে কতজন নারী ধর্ষিতা হয়েছিলেন এবং কতজন গর্ভবতী হয়েছিলেন তা অনির্ধারিত। জানা যায়, সামাজিক অপবাদের হাত থেকে বাঁচতে অনেক নারীই আত্মহত্যা করেন। অসংখ্য গর্ভবতী নারী চলে যান ভারতে বা অন্য কোথাও গোপনে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের অনেক বীরাঙ্গনা নারী। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতিত হয়েছিলেন পাকবাহিনী হাতে।
বিবাহিত মেয়েদের তাদের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তুলে নেয়নি। আবার যারা অবিবাহিত ছিল তাদের ভাগ্যে জোটে ‘মিলিটারির বৌ’-এর খেতাব।

পরিবার হারা এসব বীরাঙ্গনাদের বয়স এখন বেড়েছে। লজ্জা ভেঙে এখন একটু সাহায্যের আশায় তারা মুখ খুলছে। স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবসে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা বা সংগঠন হয়তো কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাদের কিছু সাহায্য করে। এরপর আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন বীরাঙ্গনাদের মর্যাদা। ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন, “আজ থেকে পাকবাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত মহিলারা সাধারণ মহিলা নয়, তারা এখন থেকে বীরাঙ্গনা খেতাবে ভূষিত।কেননা দেশের জন্য তারা ইজ্জত দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে তাঁদের অবদান কম নয়, বরং কয়েক ধাপ উপরে, যা আপনারা সবাই জানেন, বুঝিয়ে বলতে হবে না। তাই তাঁদের বীরাঙ্গনার মর্যাদা দিতে হবে এবং যথারীতি সম্মান দেখাতে হবে। আর সেই স্বামী বা পিতাদের উদ্দেশে আমি বলছি যে, “আপনারাও ধন্য। কেননা এ ধরনের ত্যাগী ও মহৎ স্ত্রীর স্বামী বা মেয়ের পিতা হয়েছেন।”

১৯৭২ সালে বীরাঙ্গনাদের জন্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যেগে গঠন করা হয়েছিল ‘নারী পুর্নবাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন’।
কিন্তু জাতির জনকের হত্যার পর তা হারিয়ে গেছে।

এখন বীরাঙ্গনাদের পাশে দাড়ানোর মত নেই কেউ। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবির আহাদের কাছে বীরাঙ্গনাদের ব্যাপারে সরকারের কি পদক্ষেপ রয়েছে জানতে চাইলে  বলেন, ‘কারা করবে তাদের জন্যে? করার কথা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের, কিন্তু সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা কি আছে! সেখানে মন্ত্রী কিছুই জানেন না। মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে না থাকলে যা হয় আর কি!’

হয়ত মুক্তিযোদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বা কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করলে দেখা যাবে বীরাঙ্গনা কী তারা এটাই জানেন না..........!!!!!!!!

রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৩

রকমারি ~১


১) ফটোশপ শিখতেছি, আশা করি কিছু দিনের মধ্যে আমাকে চাঁদে দেখতে পাবেন......

কথা রেখেছেন আশরাফুল।।।।।।। এবার অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও তাকে তার মত থাকতে দেওয়া উচিত........

) ব্লগ, ফেসবুক, ইন্টারনেট, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং পবিত্র ধর্মকে কটূক্তি করেছে, তাদের তালিকা প্রস্তুত ও তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

) আগামী মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের জন্য হরতালের চাঁদ দেখা যেতে পারে.....

)    অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
        যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
        
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই - প্রীতি নেই - করুণার আলোড়ন নেই
        
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
        
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি
        
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব'লে মনে হয়
        
মহত্‍‌ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
        
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।
                                                     ( জীবনানন্দ দাশ )

শনিবার, ৯ মার্চ, ২০১৩

কিছু কথা ~২


) কিছু পত্রিকায় দেখলাম (জামাত-শিবির নিয়ন্ত্রিত) নবম-দশম শ্রেনির নতুন কারিকুলামেরইসলাম নৈতিক শিক্ষা'' বইয়ে (৮২ পৃষ্ঠায়) নাকি বলা হয়েছেদেবদেবীর নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত হালালএবং আল্লাহ্ র সাথে নাকি দেবদেবীর তুলনা করা হয়েছে
প্রকৃতপক্ষে সেখানে লেখা আছে  "দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম!"
এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করে বসে মনযোগ দিয়ে পড়ে দেখুন কি লেখা আছে…….                                         
বোর্ড অবশ্য শুদ্ধকে ভুল বলে স্বীকার করে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্ঠা চালাচ্ছে……..

) আজ ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী আজকের এই দিনে নারী দিবস পালিত হয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে দেখা যায় নারীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান, পত্রিকাগুলোতে থাকে বিশেষ ফিচার পাতা জায়গায় জায়গায় আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান র‌্যালী
আজ দুপুর ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাসে যাওয়ার সময় দেখলাম তিন দলে ১৫ জন করে প্রায় ৪৫ জন নারী ব্যানার নিয়ে দাড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছে, জনা বিশেক লোক (মনে হয় সাংবাদিক) তাদের ছবি তোলছে একজন পুরুষ মাইকে অগ্নিঝরা (আমার মনে হয়েছে) ভাষণ দিচ্ছে তাকে দেখে বাসে আমার পাশে বসা দু জন তরুণ বলে উঠল উনি কি মহিলা নাকি? (অবশ্য এতটা মার্জিত ভাষা ব্যবহার করে নি)
নারীদের অধিকার রক্ষার যে সব ব্যবস্থা বর্তমানে চালু আছে তা দিয়ে নারী পুরুষের সমতা কোন দিন সম্ভব বলে মনে হয় না নারীদের জন্য বাসে কয়েকটি সিট বরাদ্দ দিয়ে, নারী কোটায় চাকরি কিংবা সংসদে সংরক্ষিত আসন দিয়ে নারীর অধিকার নিশ্চিত হয় না বরং তা হয় নারীকে চরমভাবে অপমান করা আর এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০০ বছরেও  নিশ্চিত হবে না নারীর অধিকার কেবল আমাদের নিজ নিজ সচেতনতাই পারে নারীদের সমতা দিতে, সন্মান দিতে তাদের প্রাপ্য অধিকার দিতে