১। সন্ধ্যার শো তে বলাকায় মুরাদ পারভেজের দ্বিতীয় সিনেমা বৃহন্নলা দেখে আসলাম।২। সিনেমাতে আমি যা খুঁজি (গোছানো গল্প, প্রতিটা দৃশ্যে বিশাল ক্যানভাস, অভিনয়কে ছাড়িয়ে যাওয়া, সিনেমা ছাড়িয়ে শিল্পে রূপ নেওয়া) সবই পেয়েছি।
৩। প্রতিটা চরিত্রের জন্য সঠিক অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচনে পরিচালক বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
৪। ফেরদৌস, সোহানা সাবা, আজাদ আবুল কালাম, ঝুনা চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, ডাঃ ইনামুল হক বা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় ভুলার মত নয়। বিশেষ করে হোমিও ডাক্তারের চরিত্রদানকারী আজাদ আবুল কালামকে বিরতির পর মৃত দেখতে পেয়ে একপ্রকার হতাশই হয়েছি।
৫। প্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে কিছুটা নেগেটিভ চরিত্রে দেখে হতাশ হয়েছি।
৬। গানের সংখ্যা ৪টি (সংক্ষিপ্ত), তবে ৪টি গানই কাহিনী পরিবেশের সাথে খাপে খাপ
মিলে গেছে।
৭। তবে শেষ দৃশ্যে পরিচালক এতো তাড়াহুড়া করে কেন শেষ করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। আরো দুই তিনটা দৃশ্য দিয়ে শেষ করলে মনে হয় আরো ভালো হত।
৮। মেধা থাকলে যে স্বল্প বাজেটেও ভালো সিনেমা করা যায় মুরাদ পারভেজ বৃহন্নলার মাধ্যমে আবার তা দেখিয়ে দিলেন।
৯। টিকেটের টাকা সার্থক। দেখতে পারেন। অবশেষে বৃহন্নলার জন্য শুভকামনা।